কালের বেলা ডেস্ক >>
আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত গণভোট। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সিইসি জানান, সংবিধান ও আইনে নির্দেশিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় কমিশন নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশনায় তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলা ও থানায় কমপক্ষে দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী এই ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী আচরণবিধি তদারকি ও বিধিভঙ্গের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩৪ জন।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৯টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি।
ঘোষিত তফসিলের মধ্য দিয়ে দেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করল। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য ভোট-উৎসব নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।