শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
তাড়াশে জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা সিরাজগঞ্জে পুলিশি চাঁদাবাজি-হয়রানির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান: স্থায়ী ক্যাম্পাস পাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উল্লাপাড়ায় তাঁতশিল্প কারখানায় সন্ত্রাসী হামলা আহত ৩, গ্রেপ্তার ৩ ত্যাগী ও সংগ্রামীদের মূল্যায়নে নতুন কমিটি পেল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল মাদ্রাসার ১০০ শিশু-কিশোরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে আবেগাপ্লুত বিএনপি নেতা এনামুল হক তাড়াশে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধ তাড়াশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত তাড়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক করতোয়ার ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আকস্মিক বন্যায় চলনবিল প্লাবিত: ঈদের আনন্দ ম্লান কৃষকের

লুৎফর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক >> / ১৯৯ ভিউ:
আপডেট সময়: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

লুৎফর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক >>

চলনবিল অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সরিষা পরবর্তী নাবিজাত ব্রিধান-২৯ জাতের বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ঈদুল আজহার ঠিক আগে এ এলাকার হাজারো কৃষক পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই ধান ঘরে তুলতে না পারায় কোরবানির ঈদের আনন্দ হারিয়ে ফেলেছেন।

তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, সিংড়া ও গুরুদাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায় মৌসুমী শ্রমিকেরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ার পরপরই। শ্রমিক না পেয়ে কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার চেষ্টা করলেও ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক নৌকা নিয়ে কোমর-পানি পেরিয়ে নিজ হাতে ধান কাটতে নেমেছেন।

তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া মুকন্দ গ্রামে দেখা যায়, গলা পানিতে দাঁড়িয়ে কৃষকরা ধান কাটছেন। বৃষ্টির পানি ও নদীর জলমগ্ন অবস্থায় একদিকে যেমন ধান রক্ষা করা কঠিন, অন্যদিকে বাড়তি শ্রম ও খরচ তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।

সিংড়ার বিয়াস গ্রামের রোজিনা আক্তার মিতু জানান, অনেক কৃষক হতাশ হয়ে ধান কাটাই ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার অর্ধেক ভাগ দিয়ে অন্যদের মাধ্যমে ধান তুলছেন।

শাহজাদপুরের পোতাজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বাচ্চু বলেন, রাউতারা বাঁধ কিছুটা রক্ষা করলেও বৃষ্টির কারণে পানি বেড়েই চলছে। এতে ফসল ডুবে যাচ্ছে।

হারভেস্টার মেশিন দিয়েও ধান কাটা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ের কৃষকরা। নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, ও শাহজাদপুর এলাকার কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা খরচ করেও মেশিন ডুবে যাওয়ায় ধান তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমরান হোসেন বলেন, “ঈদের আগে ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদীতে পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছিল। ঈদের পরের ২৪ ঘণ্টায় তা আবার ৩ সেন্টিমিটার কমলেও চলনবিলের নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানির পরিমাণ বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানের ঢল ও স্থানীয়ভাবে ভারি বর্ষণের কারণে এ বন্যা দেখা দিয়েছে। চলনবিল অঞ্চলের ১৬টি নদনদীর মধ্যে আত্রাই ও ভদ্রাবতী নদী দিয়ে উজানের পানি যমুনায় মিশলেও নিম্নাঞ্চলে পানি আটকে থাকছে। ভদ্রাবতী নদীর উপর নির্মিত জলকপাট উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে তাড়াশ-সিংড়া সংযোগস্থলের রানী ভবানী ব্রিজের উজান এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।

চলনবিল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে যেসব জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছিল, সেখানে ব্রিধান-২৯ জাতের নাবিজাত ধান বেশি থাকায় ক্ষতি তুলনামূলক বেশি হয়েছে।

এদিকে, তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। ফলে কৃষকদের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

৯ responses to “আকস্মিক বন্যায় চলনবিল প্লাবিত: ঈদের আনন্দ ম্লান কৃষকের”

  1. I enjoy the efforts you have put in this, thank you for all the great posts.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর