মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
তাড়াশে স্ত্রীর উপর অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা গুল্টা বাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে তাড়াশে ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ পাবনার সাংবাদিকতায় এক আলোকবর্তিকা: এবিএম ফজলুর রহমানের জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা ভিডব্লিউবি তালিকায় অনিয়মে উত্তাল জনতা, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি তাড়াশে একই দিনে দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ দুর্নীতির দায়ে ওসি থেকে এসআই: মাসুদ রানার শাস্তিমূলক অবনতি ভ্রাম্যমান আদালতে অপচিকিৎসা করা ভূয়া প্রাণী চিকিৎসকে জরিমানা ঘুষ ছাড়া ভিডব্লিউবি কার্ডধারী নির্ধারণ করতে ব্যতিক্রমি লটারীতে তাড়াশে সুফলভোগি নির্ধারণ তাড়াশে পৌর শিশু পার্কে দিনে গরু-ছাগল রাতে মাদকের আড্ডা

সিরাজগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় ভূমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক >> / ১০৩ ভিউ:
আপডেট সময়: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক >>

সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ডাকা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক ও দক্ষ হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং জনদুর্ভোগের দ্রুত অবসান ঘটে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শিক্ষার্থীরা ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায়ের প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় শহরজুড়ে তীব্র যানজট ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, যার ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম। নেতৃত্ব দেন সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মারুফ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা সরাসরি সংলাপে বসেন, তাদের দাবিদাওয়া মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন।

সেনাবাহিনীর এই দায়িত্বশীল ও সহনশীল ভূমিকা শিক্ষার্থীদের আস্থায় এনে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারে সহায়তা করে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং শহরে স্বস্তি ফিরে আসে।

সিরাজগঞ্জ জেলা আর্মির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির বলেন, “সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্মানজনক আলোচনা করেছি, যার ফলেই কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”

সেনাবাহিনীর এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ আবারও প্রমাণ করেছে, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনী নয়—বরং জাতির যেকোনো সংকটে নির্ভরযোগ্য অভিভাবক। সেনাবাহিনীর শান্তিপূর্ণ সংকট ব্যবস্থাপনাও দেশের স্থিতিশীলতা ও সুসংবাদের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর