কালের বেলা ডেস্ক >>
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। হামলার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কাজীপুর উপজেলার পুরাতন মেঘাই বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে তার স্ত্রী-পুত্রসহ ছয়জন আহত হন। এ ঘটনায় তার ছেলে মেহেদী হাসান সুমন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুলসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এরপর, ১৬ ডিসেম্বর আসাদুলও বাবলুর চার পুত্রসহ ১৪ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন।বিএনপি নেতা বাবলুর অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকেই ওসি নূরে আলম পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র না দিয়ে, উল্টো আসাদুলের মামলাটি আগে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে এলাকাবাসী ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগেই প্রতিপক্ষ হামলা চালায়, যাতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
মানববন্ধনের খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুলের লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।
কাজীপুর থানার ওসি নূরে আলম পক্ষপাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দুই অফিসারকে দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং বাবলুর ছেলের মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগপত্র আদালতে পাঠানো হয়নি। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Your content offers something for everyone; it’s helpful for both seasoned and beginner readers.