লুৎফর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক >>
অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সিরাজগঞ্জ তাড়াশে নিমগাছি সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পের গুয়ারাখি ‘বড় পুকুর’ নামে একটি পুকুরের প্রকৃত সুফলভোগীদের বাদ দিয়ে রাতারাতি সুফলভোগী সদস্য হয়ে ডিসি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।আর এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ওই পুকুরের বাদ পরা সুফলভোগীরা মানববন্ধন করেছেন।
পরে তারা প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বরাবর একটি স্মারক লিপিও দিয়েছেন।জানা গেছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গুয়ারাখি গ্রামে নিমগাছি সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্প’র (রাজস্ব) ‘বড় পুকুর’ নামে একটি আট বিঘা জলায়নের একটি পুকুর আছে। যা ওই গ্রামের ৫০ জন সুফলভোগী বহু বছর ধরে ভোগ- দখল ও মাছ চাষ করে আর্থিক ভাবে সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট পরিবর্তীত পরিস্থিতির পর গুয়া রাখি গ্রামের মাজেদা খাতুন সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হয়ে প্রকৃত সুফলভোগীদের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের ৪২ সদস্যের গুয়ারাখি ‘বড় পুকুর’ সুফলভোগী সমিতি নামের একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তারা প্রভাব খাঁটিয়ে ওই সমিতির নামে পুকুরের ডুপ্লিকেট কার্বণ রশিদ বা ডিসিআর ও কেটে নেন। যা জানাজানি হলে বাদ পরা প্রকৃত সুফলভোগীরা প্রতিবাদ জানান এবং মানববন্ধন করে অনতিবিলম্বে রাতারাতি মাজেদা খাতুন সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হয়ে করা সমিতির নামে কাটা ডুপ্লিকেট কার্বণ রশিদ বা ডিসিআর বাতিলের দাবী জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, গুয়ারাখি গ্রামের বাসিন্দা মো. মমিন হোসেন, সাবিনা ইয়াসমিন, মো. আল আমিন, আবুল বাশার, আমির হামজা প্রমুখ।
অবশ্য, নতুন সুফলভোগী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামে পুকুর নিয়ে নানা গ্রাম্য রাজনীতি চলছে। আসলে সুফলভোগী বাদ পড়া তেমন বিষয় না।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশগুল আজাদ জানান, মাজেদা খাতুন সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক করে যে সুফলভোগী সমিতির নামে ডিসিআর কাটা হয়েছে তাতে প্রকৃত সুফলভোগী বাদ পরলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা জানান, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।