প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্ব আইনজীবী ও বিচারকদের। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এ রকম কোনো আচরণ কাম্য নয়।আজ বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির ‘অভিষেক ২০২৪’ উপলক্ষে সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে আইনজীবীদের দাবির প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, চট্টগ্রামে আদৌ হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের প্রয়োজন আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।আইন শিক্ষা অহিংস হতে শেখায় উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কে কার চেয়ে ভদ্র। দুটি পক্ষের মধ্যে হার-জিত থাকবে। এতে মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার কিছু নেই। এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞা, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা প্রমুখ।