শাহরিয়ার মোর্শেদ, সিরাজগঞ্জ >>
সিরাজগঞ্জে এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপূর ইউনিয়নের দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমাদ আলী দাখিল মাদ্রাস ১৩ জন শিক্ষার্থীর পাস করেনি কেউই। ১২ মে রবিবার সকাল ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক, উক্ত মাদ্রাসার এস এসসি পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট সিটে ১৩ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে মেলেনি একজনেরও পাস। সরেজমিনে উক্ত প্রতিষ্ঠান দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমাদ আলী দাখিল মাদ্রাসায় দুপুর বেলা গিয়ে জানা যায়, এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় ৫ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়ে দাখিল পরিক্ষায় অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি। তবে এ প্রতিষ্ঠানে ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
আলহাজ্ব আহমাদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেফায়েত উল্লাহ্ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও হয় ১৯৯৮ সালে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা পাস করে। কিন্তু করোনার প্রভাব পরায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করা এবং মেয়েদের বাল্যবিয়ে হওয়াতে কেউ পাস করতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমি এই মাত্রই শুনলাম আমিও একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি বেশী সময় দিতে পারিনা। তাদের যথেষ্ঠ বলেছি নিয়মিত ক্লাস করান। যদি সবাই ফেল করে থাকে তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, সুপার সেফায়েত উল্লাহ্ ঠিকমত প্রতিষ্ঠানে আসেন না। অধিকাংশ স্যার ম্যাডামরা আসলেও ঠিকমত ক্লাস করান না। সরকার থেকে বেতন পান প্রতিষ্ঠানের কোউ পাশ করলেও কি না করলেও কি।
এ ছারা চেয়ারম্যানের ভাই সভাপতি হওয়ায় এলাকার কেউই কিছু বলতে যান না। লেখাপরা হয় না মাঝে শিক্ষকরা আসেন আবার চলে যান।
প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী বাড়ির রবিউল ইসলাম জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কোন লেখাপড়া হয় না সরকার বেতন দেয় তাই শিক্ষকরা মাঝে মাঝে এসে একটু খুলে বসে থেকো আবার চলে যায়। কোন এল ম্যাডামও এসেছে তিনি নাকি আাবার আসেনি না।
যদি কেউই পাশ না করে থাকে তাহলে সরকারের টাকা নস্ট করার কি দরকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিক।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম সামছুল ইসলাম বলেন, ঐ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন , ফলাফল বিপর্যয়ের কারন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।