বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব ভাই’-এর বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশেষ এই প্রদর্শনীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, বিশেষ করে শেখ মুজিব থেকে ‘মুজিব ভাই’ হয়ে ওঠার যে সংগ্রামী গল্প, সেটাই ৪৫ মিনিটের অ্যানিমেশনের মাধ্যমে এখানে আমরা দেখব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ে ওঠে। এ কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজকের দিনটিতে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়ার দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়। শিশু-কিশোর এনিমেটেড মুভি পছন্দ করে। এ জন্যই এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও আদর্শ তাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আর পুরো চলচ্চিত্রটি কিন্তু তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেই। এতে কাজ করেছেন আমাদেরই তরুণরা। আমরা আগামীতে শেখ রাসেলকে নিয়ে আরেকটি অ্যানিমেটেড মুভি তৈরি করব।
এক প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুষ্ঠানিকভাবে এটা এখনো দেখাইনি। আজকের বিশেষ প্রদর্শনীর পর তাকে আমরা দেখাব। তবে মেঘদল ব্যান্ডের শিবু কুমারের গাওয়া এটার থিম সং এবং আব্দুল আলীমের একটি ভাটিয়ালি গান তাকে আমরা দেখিয়েছি।
চলচ্চিত্রটি যত বেশি সম্ভব প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর জন্য হল মালিক এবং প্রদর্শকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, আমরা চাচ্ছি দুই সপ্তাহ এটাকে হলে রাখতে। তারপর এক মাস ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রাখব। এরপর এটা টেলিভিশনে দিয়ে দেবো। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশে কিন্তু শিশুদের নিয়ে কনটেন্ট খুব কম হয়। আর এই চলচ্চিত্রটি কিন্তু তৈরিই করা হয়েছে শিশুদের লক্ষ্য রেখে। হল মালিক এবং প্রদর্শকরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে কিন্তু শিশুদের বিনোদনের একটি সুযোগ তৈরি হয়।
আইসিটি বিভাগ জানায়, ‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনি লিখেছেন অজয় দাশগুপ্ত। সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন আদনান আদীব খান। এটি পরিচালনা করেছেন চন্দন কুমার বর্মন এবং সোহেল মোহাম্মদ রানা। চলচ্চিত্রটি আইসিটি বিভাগের মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। এর অ্যানিমেশন ডেভেলপ করেছে টেকনোম্যাজিক প্রাইভেট লিমিটেড এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হাইপার ট্যাগ লিমিটেড।