বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা: প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ২১ বিএনপি“র দু পক্ষের হাতাহাতিতে তাড়াশের গোনতা আলীম মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা পন্ড সলঙ্গায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তাড়াশে নৃত্য শিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ সিরাজগঞ্জে নিজের মাথা কেটে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ তাড়াশে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় বোখাটে যুবক গ্রেফতার উল্লাপাড়ায় একই দিনে দুই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে তাড়াশে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তাড়াশে নকলের অভিযোগে ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

সলঙ্গায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক >> / ২৪ ভিউ:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক >>

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে কার্ডপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সরকারিভাবে এই কার্ড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণের কথা, বাস্তবে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (১৭ মে) দিনব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিলনের অনুমতিক্রমে একটি কক্ষে কার্ড বিতরণের সময় এই টাকা আদায় করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, ট্যাক্স আদায়কারী পাবেল এবং কর্মকর্তা মিলনের ব্যক্তিগত সহকারী সাকাওয়াত হোসেন কার্ডপ্রতি নগদ অর্থ নিচ্ছেন। টাকা না দিলে কার্ড দেওয়া হচ্ছে না এবং ভোক্তাদের নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ঘুড়কা ইউনিয়নের মোট ৬৩৪ জন কার্ডধারীর মধ্যে অনলাইনে কার্ড একটিভ করে তা বিতরণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে বেশ কয়েকজন ভোক্তা অভিযোগ করেন, প্রথমে অনলাইনে কার্ড চালু করার জন্য ১০০ টাকা নেওয়া হয়, পরে বাড়িতে গিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হয় এবং এরপরও আবার কার্ড বিতরণের সময় অতিরিক্ত ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাবি করা হচ্ছে।

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডপ্রাপ্ত ভোক্তা শাহ আলম ও নাসির উদ্দিন বলেন, “অফিসারের নির্দেশে টাকা ছাড়া কেউ কার্ড পাচ্ছে না।” সাকাওয়াত হোসেন সরাসরি বলেন, “টাকা না দিলে কার্ড অ্যাক্টিভ হবে না।
ঘুড়কা ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি এবং কার্ডধারী আবু সাঈদ শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রথমে অনলাইনের জন্য টাকা দিয়েছি, পরে ট্যাক্স, এখন আবার কার্ড নিতে টাকা লাগছে- এটা কেন।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল কাদের মিলন টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের জন্য টাকা নিচ্ছি না, এটা ট্যাক্সের টাকা।”
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে অর্থ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর