নিজস্ব প্রতিবেদক >>
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মহাসড়কে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় চারজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারদের পরিচয়:
১. তুষার হোসেন (৩০) – সিরাজগঞ্জ শহরের মাহমুদপুর মহল্লার ৩ নম্বর গলির বাসিন্দা, হামিদুল ইসলামের ছেলে।
2. তুষার আহম্মেদ অন্তর খান (২৯) – রায়পুর উত্তরপাড়ার ১ নম্বর মিলগেট এলাকার বাসিন্দা, আব্দুল লতিফ খানের ছেলে।
3. রাশেদুল ইসলাম ওরফে কেতু (৩৫) – কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা, সোলায়মান মন্ডলের ছেলে।
4. আব্দুর রহিম মন্ডল (৩৬) – একই এলাকার বাসিন্দা, মানিক মন্ডলের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ:
গত ৯ মার্চ রাতে সিরাজগঞ্জের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা প্রথমে গাড়ির দিকে ঢিল ছোড়ে। চালক মাইক্রোবাস থামালে দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে ছয়টি মোবাইল ফোন ও ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার ও উদ্ধার:
ডাকাতির ঘটনার পর যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় মামলা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, একটি হাঁসুয়া, একটি রড, লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তি:
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল হক জানান, বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে রাশেদুল ইসলাম বাদে বাকি তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Your blog illuminates my day like a beacon. Thank you for spreading positivity with your words.