প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কুতুবের চর এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা মৎস আড়ৎ এর বরফ কলের লবনাক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে ফসলী জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, সলঙ্গা থানার কুতুবের চর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মৎস আড়ৎ এর পাশে কুতুবের চর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে বাসুদেবকোল দক্ষিণ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ( আরজু) মাস্টার( ৫০) তার নিজ বাড়ির ভিতরে একটি বরফ কল স্থাপন করেন।
উক্ত বরফ কলের লবনাক্ত পানি একই এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ সবুজ সরকার (৪৫) এর ৪৪ শতক ফসলী জমি সহ আশপাশের প্রায় ২০/২২ বিঘা জমিতে প্রবাহিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এ নিয়ে একাধিকবার আরজু মাস্টারকে অবহিত করলেও অদৃশ্য পেশী শক্তির বলে তিনি কর্নপাত করেনি। গত ২২-০৪ -২৪ ইং তারিখে সবুজ এসব বিষয় নিয়ে আরজু মাস্টারের সাথে কথা বলতে গেলে আরজু মাস্টার ও তার ছেলে নোমান (৩০) সবুজ ও তার পরিবারের উপর হামলার হুমকি ধামকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
পরে বিষয়টি কেউ সমাধান দিতে না পারায় সবুজ সরকার সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সবুজ সরকার ও তার ভাই সরোয়ার হোসেন জানান, আমার ৪৪ শতক জমিসহ আশেপাশের প্রায় ২০-২২ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে আমি বারবার আরজু মাস্টারকে বলতে গেলে উল্টো আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাই আমি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রসাশনের কাছে আমার ফসলের ক্ষতিপূরনসহ আরজু মাস্টারের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে, বরফ কল মালিক শহিদুল ইসলাম আরজু মাস্টারকে খুজে পাওয়া যায় নি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে, সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হকের কাছে একাধিক বার ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নাই।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, এসব বিষয় আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি থানা দেখবে।