সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খাদিজা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি খাদিজাকে তার স্বামী ও স্বজনেরা পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখে। সোমবার সকালে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূ খাদিজা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঁখুয়া গ্রামের মজনু মিয়ার স্ত্রী ও বেলকুচি উপজেলার রয়নাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূ খাদিজা খাতুনের স্বামী মজনু মিয়া জানান, রোববার রাতে খাওয়া- দাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি শয়ন ঘরের ধরনার সাথে খাদিজার লাশ ফাঁসিতে ঝুঁলছে।
খাদিজার বড়ভাই দুলাল অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ ১০ বছর আগে খালাতো ভাই মজনুর সঙ্গে আমার বোন খাঁদিজার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। মাঝেমধ্যেই পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া বিবাদের জের ধরে বোনজামাই মজনু ও তার স্বজনেরা মারপিট করতো। এমন কি আমাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিতো। তিনি আরও জানান, রাতের কোন এক সময় খাদিজাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘরের ধরণার সাথে ঝুলিয়ে রেখে সোমবার সকালে প্রতিবেশি, থানা ও আমাদের বাড়ীতে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্য।