নিজস্ব প্রতিবেদক >>
গুল্টা বাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে কলেজে আসতে বাধা, হুমকি প্রদান ও বেআইনি ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন এডহক কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম এমন অভিযোগ উঠেছে।এভডক কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্র সম্পর্কে অবগত থাকার পরেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধি বহির্ভূতভাবে বেআইনি ও অবৈধ ভাবে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নওজেস আলীকে না জানিয়ে এবং তাদের কোন প্রকার স্বাক্ষর না নিয়ে এডহক কমিটির সভাপতির নিজস্ব লোক ফেরদৌস রহমানকে গত ১৮.১১.২৪ সালে হিতৈষী ও সকল শিক্ষকের মতামত উপেক্ষা করে কলেজের উপাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে তার ইচ্ছে মাফিক পছন্দের লোক মোঃ ইসমাইল হোসেনকে গত ২০ ১১.২৪ সালে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান শিক্ষক প্রতিনিধি ও হিতৈষী সদস্য নিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরে গত ২০.০২.২৫ সালে কলেজের আসলে এডহক কমিটির সভাপতির লোকজন বাঁধা প্রদান করে সেই সাথে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত, বেতন ভাতা বন্ধ ও মিথ্যা হয়রানিরমুলক মামলা করবে বলে হুমকি দেয়।
সেই সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষকে শোকজ করেন। অবৈধ এডহক কমিটির নিকট শোকজের জবাব না দেওয়ায় গত ২৩ ২ ২৫ তারিখে এডহক কমিটির সাধারণ সভার মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরী শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধীত )২০১৯ এর বিধি ১৭ (ঘ) এবং (ঙ) বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে অর্থাৎ
বরখাস্তের বিষয়ে আইনের আলোকে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর কোন প্রতিবেদন দাখিল করেননি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি। গুল্টা বাজার শহীদি মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের কমিটির ২৩.০২.২৫ তারিখের সিদ্ধান্ত আইনের পরিপন্থী।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের গভর্নিং বডির সংশোধিত বিধি অনুসরণ না করে তফসিল ঘোষণা এবং কাউকে অবগত না করা কমিটির বিরুদ্ধে মামলা চলমান ও রমজানের ছুটির মধ্যে গোপনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিধিবহির্ভূত কমিটির সভাপতি ও বিদ্যুৎসাহী ও সদস্য মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন।
উপাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ আব্দুল কালাম আজাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ৬.৪.২৫ তারিখে কলেজ খোলার বিষয়টি উপাধ্যক্ষ নিকট জানতে চাইলে তার বিরুপ মন্তব্যর কারণে শিক্ষক, কর্মচারী,ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।এরই প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক কর্মচারীরা উপাধ্যক্ষের কার্যালয় ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কমিটির অনিয়মের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে কলেজে আসতে বাধা সৃষ্টি করে উপাধ্যক্ষ আবুল কালাম নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে বিধি বহির্ভূতভাবে হিসাব পরিচালনা ও যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করেছে।গত ২৬.৫.২৫ তারিখে উপাধ্যক্ষ এক্তিয়ার বহির্ভুত ভাবে উপাধ্যক্ষের সীল ব্যবহার করে পরিচালনা কমিটির পরিচিতি সভার আহ্বান করলেও কোন শিক্ষক কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে কলেজে আসতে বাধা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না।
এ ব্যাপারে গুল্টা বাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন , শোকজের সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, নিয়ম-কানুন মেনেই কলেজ পরিচালনা করা হচ্ছে।