প্রধান বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচার প্রার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারি স্থাপনা ন্যায়কুঞ্জু স্থাপন করলাম। এখানে বিচার প্রার্থী নারী-পুরুষ সবাই বসাসহ সবধরণের ,সুযোগ সবিধা পাবেন। পুরুষ-মহিলাদের জন্য পৃথক ল্যাট্রিন সুবিধা রয়েছে। মহিলারা তাদের শিশুকে পৃথক রুমে দুধ পান করাতে পারবে। এ ধরণের ন্যায়কুঞ্জু বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘব করবে। মানুষ দ্রুত বিচার পাবে। মামলার জট কমবে।তিনি বলেন, আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলার আদালত ভবনের সাথে ন্যায়কুঞ্জু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জু উদ্বোধন করা হয়েছে। এরি ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই ভবনে বিচার প্রার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট এবং মুদীখানা দোকানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ডিপিপি মূল্যের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিল মুক্তা কনস্ট্রাকশন লিঃ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা জজ) মুন্সী মশিয়ার রহমান, সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জনাব এম আলী আহমেদ, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) মোঃ সাইফুর রহমান,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল ।জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল রহমান, আদালতের বিভিন্ন স্তরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা ও আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।