মঙ্গলবার , ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিরাজগঞ্জে রহস্যজনক দুই মৃত্যু: হাত-পা বাঁধা লতিফ, অপরদিকে ভেসে উঠল আমিনুলের লাশ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক >>

সিরাজগঞ্জে পৃথক দু’টি স্থানে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার চৌকিদহ ব্রিজের নিচ থেকে আমিনুল সেখ (৩৬) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ এবং একই দিনে রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. আব্দুল লতিফ (৪৫) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লাপাড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে এলাকাবাসী চৌকিদহ ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত আমিনুল সেখ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের আয়নাল সেখের ছেলে। নিহতের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা আমিনুলকে হত্যা করে মরদেহটি ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন,
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।

এদিকে একই দিন সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আরেক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের নাম মো. আব্দুল লতিফ (৪৫)। তিনি সলঙ্গা থানার চর ফরিদপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় গরু ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে নিখোঁজ হন লতিফ। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। বুধবার ভোরে স্থানীয়রা ফুলজোড় নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

সলঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান,

মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ দুইটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে।
একই দিনে জেলার দুই স্থানে দুজনের মরদেহ উদ্ধারে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত হত্যাকাণ্ডগুলোর রহস্য উদঘাটন করা হবে।