বৃহস্পতিবার , ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মস্কো সফর শেষে দেশে ফিরলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ ছয় সাংবাদিক

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কালের বেলা ডেস্ক >>

রাশিয়া সরকারের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পরমাণু সপ্তাহ’ উদযাপন শেষে মস্কো সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের ছয়জন প্রথিতযশা সাংবাদিক। এদের মধ্যে রয়েছেন এনটিভি ও সমকালের পাবনা প্রতিনিধি এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান।

২৮ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

অন্য পাঁচ সাংবাদিক হলেন— প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মহিউদ্দিন নিলয়, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) মোস্তফা আকমল, সময় টেলিভিশন-এর আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রধান ও যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক ইনান, দৈনিক কালবেলা-র বিশেষ প্রতিনিধি হাসান আজাদ এবং ঈশ্বরদী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনদৃষ্টি-র সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে তারা ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানে দুবাই হয়ে মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেন। ২৩ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু সপ্তাহ’ উদযাপিত হয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রোসাটম (Rosatom) যৌথভাবে পরমাণু বিজ্ঞানের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

রোসাটম ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক স্থাপনায় এক অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অর্জনের ফলে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ চলছে। রোসাটমের সহায়তায় নির্মিত ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পে দুটি রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। প্রথম ইউনিট ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ চালু হওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর সন্নিকটে এ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ প্রকল্পের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর ব্যবহৃত হচ্ছে।

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা দেশের অর্থনীতি ও শিল্পোন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।