রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ডিপিপি অনুমোদন না হলে উত্তরবঙ্গ ঢাকা-মহাসড়ক বন্ধের হুমকি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক >>

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রকল্প অনুমোদনের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের আন্দোলন। প্রকল্প অনুমোদনে অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে এবার ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবিপূরণ না হলে ঢাকা-মহাসড়কসহ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি এসেছে তাদের পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিলন বলেন, “প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ভাড়া করা ভবনে পাঠদান চলছে। সাত দফায় সংশোধনের পরেও ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে মাত্র ৫৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবুও একনেক সভার এজেন্ডায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি প্রকল্পটিকে। বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি এটি বড় ধরনের অবিচার।”

তিনি আরও জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের বিষয়ে সরকার ইতিবাচক সাড়া না দিলে রোববার থেকে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা।

এ সময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী হৃদয় সরকার, জাকারিয়া, সমুদ্র, মেরাজ, হাসানসহ অনেকে।

উল্লেখ্য, এর আগে সকাল থেকেই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আধাবেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেন।

দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস মিললেও আজও তা বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, একাধিকবার সংশোধিত ডিপিপি জমা দেওয়ার পরও প্রকল্প অনুমোদন না হওয়া তাদেরকে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

গত ২৬ জুলাই থেকে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলছে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ ও গণসংযোগ। তাদের এ ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।