নিজস্ব প্রতিবেদক >>
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের আমসাড়া গ্রামে প্রেমিকের বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন দুই সন্তানের জননী এক নারী। ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিয়ে না করে প্রতারণা করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারী, আমসাড়া গ্রামের সালমা খাতুন (৩৬), দাবি করেছেন-প্রেমিক দুলাল সরকার (৩৫), পিতা মো, আলাউদ্দিন সরকার, তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছ থেকে মোট ১২ লাখ টাকা নেন। টাকা নেয়ার সময় কখনও ব্যবসা, কখনও জমি লিজ অথবা মোটরসাইকেল কেনার কথা বলেন তিনি।
সালমা বলেন, “প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল আমার ভাইয়ের করাতকলে দুলালের কাজ করার সুবাদে। এরপর ধীরে ধীরে ভালোবাসা গড়ে ওঠে। আমি সবকিছু ছেড়ে দুলালের আশায় থেকেছি। এখন সে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।”
গত শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুলাল নিজেই সালমাকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু পৌঁছানোর পর তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন সালমা। এরপর থেকেই তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, “বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। দুলাল আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে উঠব না। প্রয়োজনে লাশ যাবে এখান থেকে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় লোকজনের ব্যাপক ভিড় জমে প্রেমিকের বাড়িতে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “ভুক্তভোগী নারী থানায় এসেছিলেন। আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত নোটে লিপিবদ্ধ করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখা শেষ হওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সালমা খাতুন আজ (৪ আগস্ট) দুপুর ৩ টার দিকে সলঙ্গা থানায় দুলাল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।