লুৎফর রহমান, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ >>
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারন সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৬ শে জুলাই দুপুরে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার সংগই দীঘি পুকুর সুফলভোগী সদস্যরা ।
সংগই দীঘি পুকুরের সুফলভোগী দলের সভাপতি কার্তীক চন্দ্র বসাক বলেন, গত ২৫ জুলাই প্রথম আলো সহ বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন ভার্সনে আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে আমার বক্তব্য দিয়ে উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুলের নামে সংবাদ প্রকাশ করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরো বলেন ,পুকুরটিতে বর্তমান সুফলভোগী সদস্য সংখ্যা ৮১ জন। আমরা প্রত্যেকেই পুকুরের পাড়ে বসবাসকারি এবং দরিদ্র শ্রেণির আদিবাসী। উক্ত পুকুরটি গত ০১/০৭/২০২৫ ইং তারিখে বাংলা ১৪৩২ সালের জন্য লীজ প্রাপ্ত হই। লীজ পাওয়ার পরে আমরা পূর্ববর্তী সাব-লীজ গ্রহীতা আব্দুস সালামকে তার মাছ তুলে নেওয়ার জন্য জানালে তিনি যথাসময়ে তার মাছ তুলে নিয়ে যান। সাব-লীজ গ্রহীতা আব্দুস সালাম সুফলভোগীর কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণ করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লীজ গ্রহণ করেছেন মর্মে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রতিবছর নতুন করে সুফলভোগী সদস্য নির্বাচন করে সুফলভোগী তালিকা তৈরি করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করে ডিসিআর প্রদান করা হয়। সদস্য নিজেরা মাছ চাষ করতে অপারগ হলে অন্য কারো কাছে লীজ প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাকিতায় আব্দুস সালামের কাছে এক বছরের জন্য লীজ প্রদান করে। কিন্তু আব্দুস সালাম সদস্যদের কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লীজ গ্রহণ করেছে বলে প্রচার চালিয়ে আসছে। প্রকৃতপক্ষে এটা অসত্য।
পূর্ববর্তী লীজগ্রহীতা তার মাছ তুলে নেওয়ার পরে আমরা আমাদের সংগই দিঘী পুকুরটি শামীম সরকারদের কাছে নতুন করে লীজ প্রদান করি। এরপর উক্ত শামীম সরকার নিজেদের মতো মাছ চাষ করার লক্ষ্যে পুকুরটির সার্বিক পরিচর্যা সম্পন্ন করে পোনা ছাড়েন। পোনা ছাড়ার ১৪/১৫ দিন পরে তারা পুকুরের বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ মাছের গ্রোথ কী পরিমাণ হয়েছে তা বোঝার জন্য পুকুরে জাল নামায়। উল্লেখ্য এই জাল নামানোকেই প্রতিপক্ষ আব্দুস সালাম বোঝাতে চেয়েছেন জাল দিয়ে মাছ ধরেছে।
আব্দুস সালাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের লক্ষ্যে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টটুলের, বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে যে খবর বিভিন্ন দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে এভাবে মানী লোকের সম্মান নষ্ট করার কারণে আমরা আব্দুস সালাম গং-এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।