লুৎফর রহমান, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ >>
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পুকুরের লীজ গ্রহিতার কাছে চাঁদা না পেয়ে এলাকার একটি চিহিৃত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তাদের কে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
এমন কি ওই পুকুরের লীজ গ্রহিতা কে পুকুরে যেতে না দিয়ে দখলের চেষ্টাসহ নানা ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে পুকুরটির লীজ গ্রহিতা বাধ্য হয়ে থানা পুলিশ, সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছেন। লীজ গ্রহিতার দাবি প্রায় আট লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পরও তিনি সন্ত্রাসীদের কারণে নিবিঘ্নে মাছ চাষ করতে পারছেন না। যার ফলে তিনি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।
ভুক্তভূগির অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, তাড়াশ উপজেলার দিঘী সগুনা গ্রামের বাসিন্দা মৎস্য চাষি মো: আশরাফুল ইসলাম রায়গঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর মৌজায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানার ২৮৫ শতক আয়তনের একটি পুকুর লীজ নিয়ে চলতি বছরে মাছ চাষ শুরু করেন।
সম্প্রতি তিনি পুকুরে মাছ ধরতে গেলে শ্রীরামপুর গ্রামে বাসিন্দা তছির উদ্দিন (৪২), শফিকুল ইসলাম শফি (৪০), ময়নুল ইসলাম(৫৫), জয়নাল আবেদীন (৬৫), ফরহাদ আলী (৪০), সামসুল ইসলাম (৪৫), আনসব আলী (৪০) ও আব্দুস সালাম (৫০) সহ একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই মর্মে হুমকি দেয় যে, তারা জোর করে মাছ ধরে নিবে অথবা পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে চাষকৃত মাছ মেরে ফেলবে।
এছাড়াও গত ১ জুলাই ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ তিন ড্রাম অজ্ঞাত তরল পদার্থ পুকুরে প্রয়োগের চেষ্টা করলে তারা বাধা দেয়। এতে তারা আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এতে করে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাধ্য হয়ে তিনি নিমগাছি সেনা ক্যাম্পে ও রায়গঞ্জ থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের পর এসব সন্ত্রাসীরা আবারও পুকুর মালিকদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য চাষি মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কারণে তিনি নিরাপত্তা ও মাছ নিয়ে শঙ্কায় আছেন। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফি চাঁদা দাবির প্রসঙ্গ অস্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরে সরকারি স্বার্থ রয়েছে। এ কারণে তারা বাধা দিয়েছেন। তবে সরকারি স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে না গিয়ে কেনো নিজেরা বাধা দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
রায়গঞ্জ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে, এম মাসুদ রানা বলেন, পুকুর সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ সিভিল বিষয়। এটা আমাদের এক্তিয়ার বহির্ভূত। উপজেলা ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসক এসব বিষয় দেখবেন।