লুৎফর রহমান,নিজস্ব প্রতিবেদক>>
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া গ্যাস লাইন পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দায়ে হাটের ইজারাদারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও একজনকে ১ মাসের জেল দিয়েছেন উল্লাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিমগাছী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ ওয়ারেন্ট অফিসার নাহিদ আলমের নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক সেনাদল ওই পশুর
হাটে গিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পান।সূত্র জানায়, সরকারি তালিকা অনুযায়ী গরুর মূল্য অনুসারে ক্রেতার কাছ থেকে ৩৩০-৫০০ টাকা নেওয়ার কথা আর
ছাগলের মূল্য অনুসারে ৬০ থেকে ১২০ টাকা অথচ গরুর ক্ষেত্রে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ছাগলের খাজনা আদায় করা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।
হাটে গরু কিনতে আসা সলঙ্গা থানার দবিরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মো. কেরামত আলী বলেন, সিটিজেন চার্টার থাকলে ইজারাদাররা এভাবে খাজনা আদায় করতে পারতো না। কিন্তু হাটের কোথাও সিটিজেন চার্টার তথা মূল্য তালিকা দেয়া নেই।
উল্লাপাড়া উপজেলার বরহড় এলাকা থেকে কোরবানির গরু কিনতে আসা ইসমাইল হোসেন দুঃখের সাথে বলেন,১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে এতে ইজারাদারের লোকজন খাজনা বাবদ দাবি করেন ১০০০ টাকা এর মধ্যে হাটে সেনাবাহিনী লোকজন আসলে আমার নিকট থেকে ৫০০ টাকা খাজনা নিয়েছে।এ জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধন্যবাদ জানাই।
শাহজাদপুর এলাকার গরুর বেপারী মুন্সী জাহিদ বলেন, কোরবানির হাট উপলক্ষে ইজারাদারের লোকজন বেশি খাজনা নিচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি হাটে সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে আমরা কম খাজনায় গরু কিনতে পারছি।এ জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।এ ব্যাপারে নিমগাছী ক্যাম্পের ইনচার্জ
ওয়ারেন্ট অফিসার নাহিদ আলম বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাটে অভিযান পরিচালনা করেছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে হাটের ইজারাদারের নিকট থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহায়তায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।