লুৎফর রহমান, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ >>
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সরকারি অনুদানের গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশের ১২ দিন পর গরু ফেরত পেলেন দুই আদিবাসী সদস্য। তারা হলেন, মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরপোতা গ্রামের বাসুদেব সরকারের স্ত্রী সবিতা রানী ও তালম ইউনিয়নের মানিক চাপড় গ্রামের ক্ষিতীশ তির্কী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এই গরু দুটি তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে স্থানীয় ও জাতীয় কয়েকটি পত্রিকায় “তাড়াশে গরু বিতরণ: একই গ্রামে পেলেন ১৬ জন, নাম থাকলেও পাননি দু‘জন” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গরু দুটি উদ্ধার করে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের ফেরত দেয়।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, গত ৩০ এপ্রিল বুধবার, তাড়াশ উপজেলায় “সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর আদিবাসী সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে” সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯০ জন সুফলভোগীর মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিতরণের সময় দুই প্রকৃত সুফলভোগী-সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কীগরু থেকে বঞ্চিত হন।
গরু ফেরত পেয়ে সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কী জানান, সংবাদ প্রকাশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপের ফলে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেরিতে হলেও গরু ফিরে পেয়ে তাঁরা খুশি। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “বিতরণের দিন আমাদের অগোচরে গরু দুটি অন্যরা নিয়ে যান। আমরা তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করেছি এবং গরু দুটি ফিরিয়ে এনেছি। প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি, যারা অবৈধভাবে গরু নিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।