শুক্রবার , ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মহাসড়কে যানজট কমাতে সেনাবাহিনীর কার্যকরী ভূমিকা

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

কালের বেলা ডেস্ক >>

ঈদযাত্রার সময় মহাসড়কের যানজট নিরসন এবং যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে যমুনা সেতুর পশ্চিম অংশে যানজটমুক্ত পরিবেশ বজায় রয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজটের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল বাড়লেও সেনাবাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপের কারণে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক।

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন মহাসড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন, যা যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রসঙ্গে ১১ পদাতিক ডিভিশন এবং বগুড়া অঞ্চলের অধীনস্থ ৪০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির (পিএসসি, জি) জানান, হাটিকুমরুল থেকে যমুনা সেতু এবং চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সেনাবাহিনী কাজ করছে। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যাতে কোনো দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সেনাসদস্যরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বিশেষ করে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, শুক্রবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেলের পর বিভিন্ন পোশাক কারখানার ছুটির কারণে যানবাহনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ২৪১টি। আগের দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার যানবাহন পারাপারের সংখ্যা দুই হাজার দু’টি বেশি ছিল।

এ বিষয়ে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, যানবাহন পারাপারের সুবিধার্থে সেতুর উভয় পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ চালু রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মোটরসাইকেলের পারাপারের জন্য উভয় পাশে দুটি করে মোট চারটি পৃথক বুথও চালু রয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই নিরলস প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ফলে এবারের ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক এবং যানজটমুক্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।