শুক্রবার , ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

কালের বেলা ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে, যা বিজ্ঞান কলেজের প্রধান সড়ক হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা থানার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের রুবাইয়া খাতুন, আর এস ডিগ্রি কলেজের অন্তর সরকার ও সিফাত হোসেন, হামিদা পাইলট গার্লস স্কুল ও কলেজের ফারজাহান ও সুমাইয়া জানান, তাদের একাডেমিক সেশন জুন মাস পর্যন্ত হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণের সময় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন আদায় করছে। এছাড়া অতিরিক্তভাবে পানি ও বিদ্যুৎ বিলের নামেও টাকা নেওয়া হচ্ছে, যা তারা দিতে রাজি নন।

প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার

বিক্ষোভের খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক, উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুম আনাম ও ইয়াসিন তালুকদার রোহিত ঘটনাস্থলে যান। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে উল্লাপাড়ার বিএনপির সাবেক এমপি এম আকবর আলী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

কলেজ ও প্রশাসনের ব্যাখ্যা

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান, এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো এক নির্দেশনায় জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতনসহ ফরম পূরণের টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কলেজগুলো সেই নির্দেশনা মেনে বেতন আদায় করছে, তবে শিক্ষার্থীরা এই অতিরিক্ত বেতন দিতে রাজি নয়।

আর এস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর বলেন, “আমরা শিক্ষা বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতেই ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের আপত্তির বিষয়টি মাথায় রেখে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে মোট টাকার ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত করা হচ্ছে যাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় না হয়।