লুৎফর রহমান >>
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পল্লীতে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
দখলবাজদের নিকট থেকে জমি ফেরত চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কৃষক তফিজ উদ্দিন।লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী কৃষক তফিজ উদ্দিনের নিজ নামে বিভিন্ন দাগে ৯.৫ (সাড়ে নয়) বিঘা জমি রয়েছে। জমিগুলো প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মোঃ রহিজ উদ্দিনের দুইটি সেচ :মোটর থেকে পানি সরবরাহ সুবিধাজনকভাবে চাষাবাদ করে আসছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গত বছরে আমাদের একই মৌজায় সেচ নীতিমালা উপেক্ষা করে মো: মজনু মিয়া ৬০০ ফুট সীমানার মধ্যে সেচ লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে মোটর বসিয়ে আমাকে তার মোটর থেকে পানি নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তার মোটরের সন্নিকটে আমার ৪০ (চল্লিশ) শতাংশ জমি অন্যের কাছে লীজ দিতে গেলে সে লীজগ্রহীতার কাছে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করলে পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে অন্যের কাছে লীজ রাখতে আমাকে হয়েছে।
অবশিষ্ট ৮.৫ (সাড়ে আট) বিঘা জমিততে নিয়ে ইরির আবাদ করতে গেলে মজনু গং লাঠি-সোঠা নিয়ে আমাদেরকে মারতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করলে আমরা উপায়ান্তর না দেখে জমি থেকে বাড়ি চলে আসি। পরবর্তীতে ঐ জমিগুলো আমি মো: রহিজ উদ্দিনের কাছে লীজ রাখলে মো: রহিজ উদ্দিন ইরির আবাদ করতে গেলে উল্লেখিত বিবাদীগণ মিলে একইভাবে আক্রমন করে জমিগুলো বেদখল দেয়। এরপর আমি এবং মো: রহিজ উদ্দিন উভয়ে মিলে এ ব্যাপারে গ্রাম্য প্রধানদেরকে জানালে তারা কিছু করতে না পারায় আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান দেন। ইরি আবাদের ভরা মৌসুমে আমি সঠিক সময়ে ইরির আবাদ করতে না পারলে আমি আমার পরিবার নিয়ে পথে বসে পড়বো। এমতাবস্থায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে জমি বেদখল এবং চাঁদাবাজীর উপযুক্ত বিচার চয়ে আবেদন করছি।
এ বিষয়ে দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত মজনু মিয়া জানান,তফিজ উদ্দিনের নিকট থেকে ৪ হাজার ৫ শত টাকা পাব।তাই জমি দখল দিয়েছি। টাকা ফেরত পেলে জমি ফেরত দেব।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।