লুৎফর রহমান >>
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফসলী জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নারীসহ ৩ জনকে মারপিট ও কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে ২০ জানুয়ারি উপজেলার সিংগারপাড়া গ্রামে। আর এ ঘটনায় সুমিন তালুকদার বাদী হয়ে ২৩ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের সিংগারাগাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও দেশিগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহাব্বত আলী, দেশিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকারী সদস্য মো. তাহাজ্জত আলী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা মো. কামরুল হাসান কাজলসহ মোট ১১ জন।
এ দিকে মামলার ১নং আসামী মো. মোহাব্বর আলীর মেয়ে রংপুরে কর্মরত পুলিশের কর্মকর্তা হওয়ায় তাড়াশ থানার পুলিশ আসামী ধরছে না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তোভোগী ও মামলার বাদী সুমিন তালুকদার।
মামলার বাদী সুমিন তালুকদার জানান, ২০১৮ সালে বাবা ও মা ২০১৯ সালে মারা যান। যার মধ্যে সিংগারপাড়া মৌজায় ৮৮ খতিয়ান ৭ দাগের ১৩ শতাংশ ফসলী জমি আমার বাবা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত ভোগ দখল করে ফলের আবাদ করে আসছেন। কিন্তু একই গ্রামের মো. মোহাব্বত আলী সম্প্রতি আমার বাবার ভোগ দখল করা ১৩ শতাংশ জমি দখলের পায়তারা করেন।
যা নিয়ে প্রথমে পারিবারিক ভাবে একটা শালিস হয়। সে সালিশে আমার দখলের পায়তারা করা মোহাব্বত আলীর বাক-বিতান্ডা হয়। এতে করে তিনি থানায় আমারও আমার স্বজদের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। তখন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বিষয়টি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে সমাধানের জন্য গ্রাম্যপ্রধানদের দায়িত্ব দেন। পরে গ্রাম্য শালিসে বিচার-বিশ্লেষণ করে জমিটি আমাদেরই মর্মে গ্রাম্য প্রধানরা রায় দেন।
কিন্তু কৃষকলীগ নেতা মোহাব্বত আলী গ্রাম্য শালিসের সে রায় অস্বীকার করেন। পাশাপাশি গত ২০ জানুয়ারি জোর পূর্বক লোকজন নিয়ে জমি চাষ করতে যায়। তখন আমার ছোট ভাই জমি চাষে বাধা দেন। তখন ওই কৃষকলীগ নেতার হুকুমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা মো. কামরুল হাসান কাজল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে আমিও আমার স্ত্রী সেখানে আমাদের কে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করার ফলে আমরা গুরতর আহত হই।
পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে আমাদের কে ভর্তি করেন। আমরা সেখানে চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ