বৃহস্পতিবার , ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

চাটমোহরে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ’র দুর্নীতির বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাকপাড়া শাহ্ মোখলেছুর রহমান আলিম মাদ্রসার সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম প্রামানিক ও অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার ও সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত মাদকাসক্ত কর্মচারি আতিকুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় পাকপাড়া শাহ্ মোখলেছুর রহমান আলিম মাদ্রসা চত্ত্বরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা মোঃ আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান হাবী,আব্দুল আলিম, রাসিদুল হাসান মানিক, আবু সালেক, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন প্রমূখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হান্ডিয়াল পাকপাড়া শাহ্ মোখলেছুর রহমান আলিম মাদ্রসা’য় সভাপতি থাকাকালীন শাহ আলম প্রামানিক ও অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ উক্ত মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা সহ তার খেয়াল খুশিমতো অফিস করছেন, সে গত সাতদিন অফিসে অনুপস্থিত রয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, শাহ আলম সভাপতি হয়ে আপন ছোট ভাই মাদকাসক্ত আতিকুর রহমান (রতন) কে অফিস সহকারি কামঃ হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ সহ অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরো ছয় জনকে চাকরি দিয়েছে। রতন মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রতিদিন নেশা করে মাদ্রাসায় এসে ছাত্র-ছাত্রীদের উত্যাক্ত করা সহ শিক্ষকদের লাঞ্চিত করছে। এ জন্য তার পদত্যাগ দাবি করে এলাকাবাসী সহ মাদ্রার ছাত্র-ছাত্রী। মানববন্ধনে এলকাবাসী নিয়োগ বানিজ্যও টাকা মাদ্রাসার তহবিলে জমা সহ সকল অনিয়মের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ এর সাথে মুঠফোনে যোগাযোগের জন্য কল দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি।

অত্র মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ গত সাতদিন হচ্ছে অনুপস্থিত রয়েছে কি জন্য তা আমি অবগত নই, সে অফিস নিয়ম মেনে ছুটি ভোগ করছেন না। সাবেক সভাপতি শাহ আলম তার ছোট ভাইকে নিয়োগ দিয়েছে, সে ছেলে নেশা করে বিষয়টি শুনেছি। সে সময় মোট ছয়টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।