বৃহস্পতিবার , ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

একদিন বৃষ্টি না হলেই তাপমাত্রা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

ঢাকা, রাজশাহীসহ চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার দাবদাহের সতর্কতা দিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এ সতর্কতা জারি করা হয়। আবহওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা বার্তায় বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে চলমান দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার দিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখন আবহাওয়া ও বৃষ্টির ধরন পালটেছে। একদিন বৃষ্টি না হলেই তাপমাত্রা আগের প্রখর তাপমাত্রায় ফিরে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে আবহাওয়ার এ ধরনের বৈরিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টিপাত বাড়লে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। দেশের ওপর দিয়ে বর্তমানে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ কমবে বৃষ্টি এলেই। তারা জানান, ১৯ মে থেকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। পরবর্তী সময় অর্থাৎ ২০-২২ মে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ২৪ মে’র পর তাপমাত্রা আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক  বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ গত বৃহস্পতিবার ৮ বিভাগেই ছিল। শুক্রবার সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি শনিবার সিলেট বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। ১৯ মে থেকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে এবং ২০ মে বৃষ্টিপাত সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে। এই বৃষ্টিপাত ২০-২২ মে থাকতে পারে সারা দেশে। একেকদিন একেক এলাকায় আধা থেকে ১ ঘণ্টা সময় নিয়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে চলামন তাপপ্রবাহ অনেকটা প্রশমিত হবে। তবে এই সময়ের মধ্যেও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ থাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সে.। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সে.।

নতুন করে হিট অ্যালার্ট দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত হিট অ্যালার্ট জারি ছিল। এই সময়ে বৃষ্টিপাতের যে ধরন তাতে একদিন বৃষ্টি না হলে পরের দিন তাপমাত্রা আগের অবস্থানে চলে যায়। তিনি বলেন, তবে ২৪-২৫ মে’র পরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে, বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপপ্রবাহের সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজের সময়ের পরিবর্তন আনা গেলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা মাঠে কাজ করা যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে বিকাল ৪-৫টা পর্যন্ত প্রখর রোদে না থাকাই ভালো। আবার বিকাল ৫টার পর কাজ করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলা যেতে পারে। কৃষির ক্ষেত্রে কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশনা মানা গেলে ভালো হয়।